মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে একটি ইতিবাচক খবর এসেছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে একটি ইতিবাচক খবর এসেছে। হোয়াইট হাউসের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চীন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু—গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনির মতো—যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এটি গত ডিসেম্বর মাস থেকে চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার অপসারণের অংশ, যা চীনের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অধীনে ছিল। এই সিদ্ধান্তটি উভয় দেশের সাম্প্রতিক বাণিজ্য শৃঙ্খলের ফলাফল, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে গত মাসের বৈঠকের পর নেওয়া হয়েছে।এই ধাতুগুলো ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অপরিহার্য। গত বছরের শেষের দিকে চীন এই রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল, যার ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হয় এবং মূল্যস্তর বেড়ে যায়। কিন্তু এখন চীনের ‘জেনারেল লাইসেন্স’ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যত তুলে নেওয়া হয়েছে, যা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য এক বছরের জন্য স্বস্তির খবর। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এতে রেয়ার আর্থ মিনারেলসের উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ এখনও অব্যাহত থাকলেও, এই ধাপটি বাণিজ্য যুদ্ধের অবনতি ঘটাবে।বাজারে ইতিবাচক প্রভাব
এই খবরের পর স্টক মার্কেটে ইতিবাচক সংকেত দেখা গেছে। ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ এবং এসএন্ডপি ৫০০ সূচকে ১-২% এর উত্থান লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে টেকনোলজি এবং ম্যাটেরিয়াল সেক্টরে। এনভিডিয়া এবং ইন্টেলের মতো সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৩% এরও বেশি বেড়েছে, কারণ এই ধাতুগুলো চিপ তৈরিতে অত্যাবশ্যক। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ‘বুলিশ’ সিগন্যাল, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি: বুলিশ মার্কেটে লাভের সুযোগ
এই ইতিবাচক খবরের সুযোগে বিনিয়োগকারীরা সতর্কতার সাথে বুলিশ পজিশন নিতে পারেন। এখানে একটি সাধারণ ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি: ১. লং পজিশন নিন: টেক সেক্টরের ETF যেমন XLK (Technology Select Sector SPDR Fund) বা ম্যাটেরিয়াল ETF যেমন XLB-এ লং পজিশন খুলুন। এন্ট্রি পয়েন্ট: বর্তমান মূল্যের ১-২% উপরে। টার্গেট: ৫-৭% লাভে এক্সিট। ২. স্টপ-লস সেট করুন: ২% নিচে স্টপ-লস রাখুন, যাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রিত থাকে। ৩. লেভারেজ ব্যবহার: অপশন ট্রেডিং-এ কল অপশন কিনুন (যেমন XLK-এর ১ মাসের কল), যা ছোট ক্যাপিটালে বড় লাভের সম্ভাবনা দেয়। ৪. মনিটর করুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনার পরবর্তী আপডেট দেখুন; যদি আরও ইতিবাচক খবর আসে, পজিশন বাড়ান। ঝুঁকি: যদি রেয়ার আর্থ নিয়ন্ত্রণ শক্ত হয়, তাহলে শর্ট-টার্ম ডিপ হতে পারে। এই স্ট্র্যাটেজি শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ট্রেডারদের জন্য; সর্বদা নিজের গবেষণা করুন এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের সাথে পরামর্শ নিন। এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিকে উজ্জ্বল করবে। আরও আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।

Scroll to Top